Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
চাঁদড়া ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি
স্থান

পাঁচুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্নে অবস্থিত

কিভাবে যাওয়া যায়

আলফাডাঙ্গা উপজেলা হতে ইজি বাইকে যোগীবরাট বাজার এসে পাঁচুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ আসতে হবে।
 

যোগাযোগ

মোঃ বাবুল আহমেদ

পাঁচুড়িয়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারী

01719517080

 

বিস্তারিত

চাঁদড়া জমিদার বাড়ি
চাঁদড়া,আলফাডাঙ্গা,ফরিদপুর

মধুমতি নদীর তীরবর্তী একটি ছোট্ট গ্রাম চাঁদড়া।সবুজ ছায়া আর প্রকৃতির মেলায় যেখানে শোনা যায় পাখির গীত।এই গ্রামেই ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে ভবতারিণী কুটীর।পাঁচুরিয়া ইউনিয়ন পরিষধের কোল ঘেসে ভবতারিণী কুটীরের অবস্থান। ১৯৩৫ সালে(বাংলা ১৩৪২ আশ্বিন) জমিদার গির্জাকণ্ঠ মুখোপাধ্যায় ভবনটি প্রতিষ্ঠা করেন।লাল বর্ণের এই ভবনটি দোতলা বিশিষ্ট।মূল ভবনের পাশে রয়েছে লাট্টু ঠাকুরের বাড়ি।ভবনটির সামনে দাঁড়ালে ব্রিটিশ আমলের চুন-সুর্কী দ্বারা নির্মিত স্থাপত্য-কৃতির নিদর্শন আমাদের দৃষ্টি কাড়ে।ভবনটিতে প্রবেশের জন্য রয়েছে প্রধান প্রবেশদ্বার যেখানে ফলক নামায় লেখা আছে……
জননী জন্মভূমি স্বর্গাদপি গরীয়সী
ভবতারিণী কুটীর
১৩৪২ আশ্বিন

ভবনের মধ্যে নীচের তলায় রয়েছে বৈঠক খানা এবং উপরে জমিদারের পারিবারিক শয়ন কক্ষ।পূর্বে উপরে ওঠার জন্য কাঠের হাতল বিশিষ্ট সিঁড়ি ছিল।বর্তমানে হাতল ভেঙ্গে গেছে তবে সিঁড়ি দিয়ে উপরে এখনো ওঠা যায়। ১০ কক্ষ বিশিষ্ট জমিদার বাড়িতে ৫ টি দরজা এবং ১৬ টি জানালা আছে।উপর তলায় লোহার রেলিং এবং টিনের চাল যুক্ত বারান্দা ছিল এখন তা বিলুপ্ত হয়ে গেছে।ভবনের উপর তলায় একটি লোহাড় সিন্দুক আছে যা সংরক্ষণের ওভাবে মরিচা ধরে যাচ্ছে। জমিদার বাড়ির মধ্যে একটি রান্না ঘর আছে।

জমিদার গির্জাকণ্ঠ সম্পর্কে জানা যায় প্রথম জীবনে তিনি ঝামার (মোহাম্মদপুর,মাগুরা)নায়েব ছিলেন।সেখান থেকে অনেক অর্থ সম্পদের মালিক হলে চাঁদরায় জমিদারী প্রতিষ্ঠা করেন।তাঁর মৌরি ছিলেন কেশব চন্দ্র চন্দ।জমিদারের তিন ছেলে ছিলেন তাদের মধ্যে দুই ছেলের নাম জানা গেছে বড় ছেলে ব্যাচা মুখোপাধ্যায় এবং ছোট ছেলে শিবুপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়।তৎকালীন সময়ে মধুমতি নদী ছিল জমিদার বাড়ির সামনে।জমিদারের বড় বড় নৌকা ছিল ,নৌকাগুলি বাড়ির সামনের ঘাটে ভীড়াত।গির্জাকণ্ঠ বাড়ির সামনে গ্রাম্য হাট চালু করেন।এখন আর সেই হাট বসে না। নদীয়ার চাঁদ বাজারের পশ্চিম পার্শ্ব গির্জাকণ্ঠের নামনুসারে গির্জার চর নামে পরিচিত।
জমিদার বাড়ির বা দিকে একটি নারায়ণ মন্দির আছে পূর্বে মন্দিরটিটে পাথরের নারায়ণ মূর্তি ছিল। এখন আর নারায়ণ মূর্তি নেই এবং পূজাও হয় না।পাশেই ছিল দুর্গা মন্দির সেটিও বিলুপ্ত হয়ে গেছে।মন্দিরটির ফলক নামায় বর্ণিত আছে......

“ স্বর্গীয় পূজাপদ মহাপুরুষ রামচাঁদ বন্দোপাধ্যায় মহাশয়ের স্মৃতি রক্ষার্থে তাঁহার দ্বীন সন্তান মনিকণ্ঠ মুখোপাধ্যায় দ্বারা এই ধর্ম প্রতিষ্ঠিত হইল । ১৩৪৪ বৈশাখ ”

মনিকণ্ঠ মুখোপাধ্যায় গির্জাকণ্ঠ মুখোপাধ্যায়ের প্রতিবেশী ছিলেন। এনাদের আরেক প্রতিবেশী ছিলেন মনিনন্দ্রনাথ। মনিনন্দ্রনাথের বাড়ির ধ্বংস স্তূপ এখনো চোখে পড়ে।জমিদার বাড়ির কিছু অংশ মধুমতিতে বিলীন হয়ে গেছে।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় জমিদার গির্জাকণ্ঠ মুখোপাধ্যায় স্বপরিবারে ভারতে চলে যান।সেখান থেকে আর ফিরে আসেননি। দেশ স্বাধীনের পর বাংলাদেশ সরকার জমিদার গির্জাকণ্ঠ মুখোপাধ্যায়ের বাড়িটি খাস জমি হিসাবে আলফাডাঙ্গা উপজেলা ভূমি অফিসের অধিনস্ত করে নেয়।